সম্প্রতি ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন(ইইউ)’ এক বিবৃতিতে “দেখা মাত্র গুলি করা হবে” এবং আইন বহির্ভূত হত্যার উপর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। হত্যার সম্পর্কে তারা তদন্ত ও সঠিক বিচার এর নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, ইউরোপীয় ইনিয়ন হতে বাংলাদেশের নাগরিকের সাথে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাথে ইউরোপীয় বাণিজ্য বিনিয়োগ এর সম্পর্ক চলমান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রদূত মারফত বিশাল অংকের বিনিয়োগ এর আশ্বাস দেয় ইইউ।
চলমান পরিস্থিতিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশ থেকে এমন বিশাল অংকের বিনিয়োগ সরিয়ে নেওয়া অবশ্যই দেশের বড় ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুখবর নয়। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে হরহামেশাই এসব বড় বড় ব্যবসায়ীদের নাম উঠে আসে। স্বার্থের তাড়নায় ব্যবসায়ীরা বেঁকে বসলে সেটা হাসিনা সরকার এর খুঁটি আরো নড়বড়ে করে দেবে।
অপরদিকে সাধারণ মানুষ এখন কথা বলতে শিখে গেছে, তারা এখন আর কাউকে ভয় পায় না। শাসকের শোষণের কথা বলতে গিয়ে কারো আর গলা শুকায় না। সুতরাং বিপ্লব আসন্ন।
সত্যি বলতে মানুষ এখন বুঝে গেছে সাধারণ মানুষের পাশে যারা আছেন তারাও নিতান্ত সাধারণ মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী কিংবা সশস্ত্র বাহিনীর লোহার হেলমেটের নিচে মগজ খাওয়া ফাঁপা মাথাটার অস্তিত্ব সবাই ধরে ফেলেছেন। এদিকে নিজেদেরও ইনফ্ল্যাশনের চাপে ‘পাছায় জোটে না ত্যানা’ হবার মত অবস্থা।
বছর দুয়েক পর বাবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাড়ির বড় মেয়ে অথবা বড় ছেলের উপার্জনে নামার কথা। সেখানেও কি তাদের নিস্তার আছে! চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটায় নিয়ে বসে আছে। আর নিজেদের সেই ন্যায্য হিস্যা চাইতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল ছেলেটা, মেয়েটাও মুখে কোন রা কাটে না।
তাদের তো হারাবার আর কিছু নাই। সুতরাং বিপ্লব সত্যিই আসন্ন।