[ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এরদান, জাতিসংঘ সনদ ছিঁড়লেন।]
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হওয়ায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বক্তব্যপ্রদানকালীন জাতিসংঘ চার্টারের একটি কপি ছিন্নভিন্ন করেন। সনদ ছেঁড়ার ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১০ মে)। জাতিসংঘ সেদিন সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদের জন্য ভোট দেয়। এই প্রস্তাবটি ১৪৩ টি ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে এবং পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। ভারতও জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের মর্যাদা প্রাপ্ত ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার জন্য এই প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে ২৫টি দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে। যুক্তরাষ্ট্র সহ ৯টি দেশ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিপক্ষে ভোট দেয়।
জাতিসংঘ চার্টারটি ছিন্নভিন্ন করার সময় তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মুখের সামনে তিনি আয়না ধরেন এবং ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত এই প্রস্তাবটিকে জাতিসংঘ সনদের ‘স্পষ্ট লংঘন’ বলে দাবি করেছেন। জাতিসংঘ চার্টারটি ছিন্নভিন্ন করার সময় তিনি বলেন, সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মুখের সামনে তিনি আয়না ধরেছেন। তিনি বলেন, “এই দিনটি কলঙ্কময় হয়ে থাকবে। আমি চাই সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তটি মনে রাখুক, এই অনৈতিক কাজটি। আজ আমি আপনার সামনে একটি আয়না ধরতে চাই, যাতে আপনি দেখতে পারেন যে এই ধ্বংসাত্মক ভোটের মাধ্যমে আপনি জাতিসংঘ সনদের কি ক্ষতি ডেকে আনলেন। আপনারা নিজের হাতে এই সনদটি ছিঁড়ে ফেললেন।“ এরদান আরো বলেন, “আজ আপনারা নিজের হাতে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ হিসেবে হামাসের ভবিষ্যত লিখলেন। আপনারা আধুনিক দিনের নাৎসিদের জন্য, আমাদের সময়ের হিটলারের জন্য জাতিসংঘকে উন্মুক্ত করে দিলেন।“ ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টজও প্রস্তাবটির বিরোধিতা করে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে ‘অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত’ বলে দাবি করে বলেছেন, “এই প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের পক্ষপাতিত্ব ফুটে উঠেছে এবং ৭ অক্টোবর হামাসের কর্মকাণ্ডকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।“